শিশুরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে।
মায়েরা আপন সন্তানদের ভুলে যাবে।
স্ত্রী স্বামীকে ভুলে যাবে।
পিতা সন্তানকে ভুলে যাবে।
ভাই ভাইকে ভুলে যাবে।
জাহান্নামের গ্রাস আসছে।
জান্নাতের সুঘ্রাণ আসছে।
পুলসিরাত এসে পড়ল বলে।
পাল্লা দুলছে।
আল্লাহ এসে পড়েছেন।
মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।
ফেরেশতা পাহারা দিচ্ছে।
আল্লাহ বলবেন, আমি দুলিয়াতে তোমাদেরকে চুপচাপ পর্যবেক্ষণ করেছি। তোমরা কে কী বলেছ, নীরবে শুনেছি। তোমরা মনে করেছ, আমাদের রব উদাসীন, তিনি কিছুই জানেন না।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমি সব দেখেছি, সব শুনেছি।
আজ হিসাব দিতে প্রস্তুত হয়ে যাও।
আজ নারীরাও আসবে।
পুরুষরাও আসবে।
শিশুরাও আসবে।
বৃদ্ধরাও আসবে।
আজ রাজাও আসবে।
প্রজাও আসবে।
ধনীও আসবে।
গরীবও আসবে।
ফেরেশতারা একজন একজন করে পুরুষ, একজন একজন করে নারীকে এনে আল্লাহর সামনে দাঁড় করাবে। আল্লাহপাক তাদের সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
বলো, এই দিনের জন্য কী করে এসেছ?
যদি প্রস্তুতি নিয়ে এসে থাক, তাহলে রেহাই আছে।
অন্যথায় ধ্বংসের দরজা খুলে যাবে।
আমার ভাই ও বোনেরা!
তাবলীগ জামাত এই মেহনতটাই করছে যে, মৃত্যুর আগে জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষার সামান তৈরি করে নাও। এমন যেন না হয় যে, উদাসীনতার মধ্যেই তোমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আল্লাহপাক নিজে হিসাব নিতে আসছেন।
আছে হয়ত জান্নাতের সেই ঘর, যাকে আল্লাহ নিজহাতে তৈরি করেছেন।
আছে এমন কারাগার, যার একটি অঙ্গারকে যদি পৃথিবীর পাহাড়গুলোর উপর রাখা হয়, তাহলে সমস্ত পাহাড় বরফের মত গলে কালো পানিতে পরিণত হয়ে যাবে।
অতএব...............সাবধান।।।
0 comments:
Post a Comment
Write your comment here.
এখানে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।