Thursday, October 30, 2014

নবীজি (সা.) এর প্রতি এক মহিলার ভালবাসা


হযরত ওমর (রা.) রাতে টহল দিচ্ছিলেন । এক মহিলা চরকা ঘোরাতে ঘোরাতে আল্লাহর রাসূল (সা.) এর স্মরণে কবিতা পাঠ করছিলঃ

"আপনার উপর দরুদ ও সালাম আল্লাহর ও আল্লাহর নেক বান্দাদের, 
আপনি তো সেই ব্যক্তি, যিনি রাত জেগে কাঁদতেন এবং আল্লাহকে ভয় করতেন ।
আমি জানি না, কেয়ামতের দিন আমার রব আমাকে আপনার সঙ্গে মিলিত হতে দেবেন কি দেবেন না ।
সময় যেমন রং বদলাচ্ছে, তেমনি মানুষের আমলও পরিবর্তিত হচ্ছে । জানি না কোন অবস্থায় আমার মৃত্যু হয় । আপনার সঙ্গে মিলিত হওয়া আমার ভাগ্যে জোটে কি-না ।" 

হযরত ওমর (রা.) ঘরটির দিকে এগিয়ে গেলেন । দরজায় করাঘাত করলেন । সময়টা ছিল মধ্যরাত । মহিলা জিজ্ঞেস করল, কে?
আমি ওমর ।
মহিলা বলল, এত রাতে আমার ঘরে ওমরের কি কাজ?
হযরত ওমর (রা.) বললেন, আল্লাহর ওয়াস্তে দরজাটা খুলে দাও ।
মহিলা ঘরের দরজা খুলে দিল । হযরত ওমর (রা.) বললেন, একটু আগে যে পংক্তিগুলো আবৃত্তি করছিলে, সেগুলো আমাকে শোনাও । তুমি আল্লাহর রাসূলের ভালবাসায় যে কথাগুলো উচ্চারণ করছিলে, সেগুলো আমাকে শোনাও ।
এটি কেমন অন্তর - যেটি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর ভালবাসায় কখনও প্রকম্পিত হয় না? এই পাথরগুলো বুকে ধারণ করে যদি আমরা মৃত্যুবরণ করি, তাহলে আমাদের মূল্য কী?
গায়ে ধবধবে শাদা পোশাক দেখলে মানুষ মনে করে, ইনি বড় মিয়া সাহেব । আরে, এটাও দেখো, ভেতরটা মাল-আবর্জনায় ঠেসে আছে কিনা ।
আল্লাহ তো মানুষের অন্তর দেখেন যে, তার মধ্যে কী আছে, কে আছে । 
আল্লাহ তা"আলা বলেনঃ 

"এবং অন্তরে যা কিছু আছে, সব প্রকাশ করা হবে ।" (১০০ঃ১১) 
কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাক অন্তরগুলোকে চিরে-চিরে দেখবেন, বান্দা কাকে হৃদয় বসিয়ে এসেছে । এই পাষাণহৃদয় কাকে দ্বারা সজ্জিত করেছে । এর মাঝে কে আছে ।
যিনি এত দুঃখ-কষ্টের মাঝেও ভোলেননি, আমরা তাঁর জীবনকে তুলে বাইরে ফেলে দিয়েছি । এর জন্য কখনও আক্ষেপও জাগেনি যে, হায়, আমি কি করলাম! কাকে ছুঁড়ে ফেললাম আর কাকে গ্রহণ করলাম! আমরা একথাটিই শিক্ষা করার দাওয়াত দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) একটি পরিপূর্ণ জীবন এনেছেন, যার নাম ইসলাম । ইসলামের উপর চলা শেখানো হয় এ তাবলীগের মেহনতে । 
ইসলাম বিনা শিক্ষার সওদা নয় - ইসলাম শিক্ষা করার বিষয় । 

0 comments:

Post a Comment

Write your comment here.
এখানে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।